শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার শিক্ষক এরশাদউল্লাহ

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২১  

ব্যক্তি আক্রোশের শিকার হয়ে শামসুজ্জোহা এমবি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্প্রতি কথিত বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক এরশাদ উল্লাহ মানবেতর জীবন যাপন করছে। দীর্ঘ ছয় মাস যাবৎ বেতনভাতা না পেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন অতিবাহিত করছে। সরকার তার বেতন-ভাতা স্কুলে পাঠালেও স্কুল কর্তৃপক্ষ অমানবিকভাবে তার বেতন-ভাতা বেআইনী ভাবে আটকে রাখার ফলে তিনি স্ত্রী, স্কুল পড়ুয়া সন্তান ও বৃদ্ধ মা নিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। যা চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল।

 

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ বন্দরে শামসুজ্জোহা এমবি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক এরশাদ উল্লাহকে ছয়মাস আগে সাজানো অজুহাতে বোর্ডের অনুমতি ছাড়াই বরখাস্ত করা হয়। এরশাদ উল্লাহ জানান, স্কুলের সহকারী প্রধান  শিক্ষক সাইফুল আলম দীর্ঘদিন যাবৎ আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কৌশলে কমিটিকে ম্যানেজ করে এই হীন স্বার্থ চরিতার্থ করেন। তার প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা না থাকলেও প্রধান শিক্ষকের চেয়ার দখল, ক্ষমতা ও আর্থিক সুবিধা লাভের জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও সাজানো ঘটনা দেখিয়ে সভাপতি মাকসুদ চেয়ারম্যান এর কান ভারি করে আমাকে বরখাস্ত করে। এবং অবৈধভাবে প্রধান শিক্ষকের পদ দখল করে।

 

যদিও  সরকারিভাবে আমি আজও বহাল ও আমার বেতনভাতা সরকার দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সহকারী প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলমের ষড়যন্ত্রে আমার বেতন-ভাতা বন্ধ রাখায় আমি বর্তমানে চরমভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমার একমাত্র অপরাধ কমিটির সভাপতি মাকসুদ চেয়ারম্যান কমিটির অভিভাবক সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও শিক্ষক প্রতিনিধি মোঃ আব্বাস উদ্দিন মারফত তিন লাখ টাকা নিয়ে স্বেচ্ছায় পদতাগ করার প্রস্তাব গ্রহন না করা। কারন কমিটির উদ্দেশ্য ছিল মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলমকে প্রধান শিক্ষক বানানো।

আমি এই বিষয়ে মাননীয় এমপি মহোদয় এ কে এম সেলিম ওসমান স্যারের সুদৃষ্টি কামনা করছি। আমি তার কাছে ন্যায় বিচার চাই।
 

এই বিভাগের আরো খবর