শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সোনারগাঁয়ের ঐতিহ্যের সাক্ষী মধু ঠাকুরের বাড়ীটি সংরক্ষণের দাবি

আশরাফুল আলম

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০২২  


সোনারগাঁয়ে ইতিহাস ঐতিহ্যের প্রাচীন নিদর্শন মধু ঠাকুরের বাড়ীটি সংরক্ষনের জন্য স্থানীয় সাংসদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, বৈদ্যের বাজার এন এ এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর স্বারক লিপি প্রদান করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

 

 

বৈদ্যের বাজার এন এ এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মধু ঠাকুরের বাড়িটি ছিল ভাওয়াল রাজা রমেন্দ্র নারায়ণ রায়ের শ্বশুর বিষ্ণুপদ ব্যানার্জীর। ভাওয়াল রাজা রমেন্দ্র নারায়ণ রায় বিবাহ করেন বিষ্ণুপদ ব্যানার্জীর কন্যা বিভাবতী ব্যানারর্জীকে এবং অত্র এলাকায় তার নিয়মিত যাতায়ত ছিল।

 

 

তৎকালীন সময় আট একর চল্লিশ শতাংশ জায়গা নিয়ে গড়ে উঠা বাড়িটিতে বসবাস করতেন বিষ্ণুপদ ব্যানার্জী পরিবার। পরে পাক ভারত উপমহাদেশ ভাগাভাগির হওয়ার পর তারা ঘরবাড়ি ফেলে অন্ত্র চলে যায়।

 

 

পরবর্তীতে বিষ্ণুপদ ব্যানার্জী পরিবারের রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয় পাশাপাশি দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৈদ্যেরবাজার এন এ এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও হাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। হাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন সময় ওই বসত বাড়ির সামনের অংশের তিনটি কক্ষ বিদ্যালয় পরিচালনা কাজে সরকারী ভাবে হস্তান্তর করা হয়।

 

 

যাহা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অনলাইন তথ্যকনিকাতে ভবন নং ০১ হিসেবে অর্ন্তভূক্ত রয়েছে। ওই বাড়িতে বিদ্যালয় গুলো প্রতিষ্ঠিত হলেও ব্যানার্জি তথা মধু ঠাকুরের বসত বাড়িটি রয়েছে আগের মতই এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে মধু ঠাকুরের বাড়ি নামেই পরিচিত।

 

 

চতুর্ভূজ একতলা আকৃতির বাড়িটির জৌলুস ও সৌন্দর্যের একটু কমতি হয়নি এখনো। বাড়িটির ভেতর বাহিরে যাওয়ার জন্য সুন্দর রাস্তা রয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, কালের বির্বতনে সোনারগাঁ থেকে ইতিহাস, ঐতিহ্যের অনেক দৃষ্টিনন্দন প্রাচীন নিদর্শন হাড়িয়ে যেতে বসেছে।

 

 

যা আমাদের পরবর্তী প্রজম্মের জন্য সংরক্ষণ অতিব জরুরী। বর্তমান সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ও বিভিন্ন নিদর্শন সংরক্ষন ও মেরামতে অগ্রনী পালন করছেন। এরই প্রেক্ষিতে ভাওয়াল রাজা রমেন্দ্র নারায়নের শ্বশুরবাড়ি ও বিষ্ণুপদ ব্যানার্জীর কন্যা রানী বিভাবতীর স্মৃতি বিজরিত বাড়িটি পরবর্তী প্রজম্মের জন্য সংরক্ষন করার জন্য দাবি জানান।

এস.এ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর