শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

অভিভাবকহীন হয়ে পড়লো বক্তাবলী আ’লীগ

আরিফ হোসেন

প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২২  


# আগের কমিটি বিলুপ্ত

 

সকল জল্পনা কল্পনার মধ্যে দিয়ে ২০ বছর পর নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আর এই সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে উদ্দীপনার কোন রকম কমতি ছিল না। সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা সম্মেলনে আসতে থাকে।

 

 

দীর্ঘ দিন যাবৎ এই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের  নতুন করে কমিটি না হওয়ার কারনে এই ইউনিয়ন অনেকটাই দূর্বল অবস্থায় ছিলো তাই ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের প্রচেষ্টায় ২০ বছর বক্তাবলী  আওয়ামীলীগের কমিটি না হওয়ার খরা কাটতে যাচ্ছিলো আজকের এই সম্মেলনের মাধ্যমে।

 


জানা যায়, ২০০৩ সালে বক্তবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন হয়। সেই সম্মেলনের মাধ্যমে বক্তবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত আফাজ উদ্দিন এবং সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন কামরুল ইসলাম। তারপর থেকে এই পর্যন্ত এখনো  কোন নতুন কমিটি এই বক্তবলী ইউনিয়নে।

 

 

কমিটি না হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময় নেতাকর্মীরা ক্ষোভ জানালেও কোন কাজ হয়নি। কিন্ত দীর্ঘদিন পর কমিটি সম্মেলনের গোষনা আসার পর থেকেই নেতাকর্মীরা অনেকটাই উজ্জীবিত ছিলো। বক্তবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের নেতৃত্বে আসতে আলোচনায় ছিলেন বেশ কয়েকজন তাদের মধ্যে সভাপতি পদে ছিলেন আবুল হোসেন।

 

 

তার বিপরীতে বক্তবলী ইউনিয়েন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক মাহমুদ তিনিও ছিলেন সভাপতি প্রার্থী।অন্যদিকে বক্তবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন ঘিরে সাধারন সম্পাদক পদে লড়াই করেছিলেন তিনজন তারা হলেন আনোয়ার হোসেন, বাবুল হোসেন ও কামরুল ইসলাম।তবে ২০ বছর পর যে সম্মেলন ঘিরে ছিলো এতো আয়োজন তা মূহূর্তের মধ্যে সবকিছু ভেস্তে যায় একটা বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে।

 

 


জানা যায় এই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে করার লক্ষ্যে জেলা আওয়ামীলীগ ও থানা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা সেই সম্মেলনে উপস্থিত থেকে কাউন্সিলর ভোটের মাধ্যমে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাধারন সম্পাদক নিবাচিত হবার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আর এই সম্মেলন স্থগিত করার ঘোষনা আসে।

 

 

এর কারণ সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন সুন্দর ভাবে শেষ হলে শুরু হয় এবং বিগত দিনের  বক্তাবলী আওয়ামীলীগের যে  কমিটি সেটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এর পরপরই শুরু হয় সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন এবং এই অধিবেশনের মাধ্যমে যে সকল সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক প্রার্থী ছিলো।

 

 

কাউন্সিলেরদের ভোটের মাধ্যমে তাদের বিজয়ী হওয়ার কথা কিন্ত ভোটের এক তৃতীয়াংশ শেষ না হতে হতেই বক্তবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রার্থী শফিক মাহমুদ ও আরেক সভাপতি প্রার্থী আবুল হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে আর মূহুর্ত্বের মধ্যে সম্মেলন স্থানে ব্যাপক হইচই হট্টগোলের সৃষ্টি হয় এবং চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে।

 

 

এমন অবস্থায় সম্পূর্ণ ভোট গ্রহণ শেষ না হতেই শেষ হয়ে যায় দীর্ঘদিন আটকে থাকা এ বক্তাবলী আওয়ামী লীগের সম্মেলন। আর এই কমিটিটা না হওয়ার কারণে বক্তাবলী আওয়ামী লীগের কোন কমিটিই আর থাকলো না এতে করে বক্তাবলী আওয়ামীলীগ এখন অভিভাবকহীন হয়ে পড়লো।

 

 

এর কারন হচ্ছে প্রথম অধিবেশনেই আগের কমিটি বিলুপ্তের ঘোষণা দেওয়া হয়।তবে পরবর্তীতে কবে নাগাদ আবারো সম্মেলন হবে তা নিশ্চিত করেননি জেলা ও থানা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শওকত আলী জানান, শুরু থেকেই সম্মেলনের কার্যক্রম সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে চলমান ছিলো।

 

 

কিছু কুচক্রী মহল বিশেষ করে এই বক্তাবলী ইউনিয়ন সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী শফিক মাহমুদের ছত্রছায়ায় ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য মহিউদ্দিন তার ভগ্নিপতি নূর মোহাম্মদ এ শফিক মাহমুদের সমর্থকরা অবৈধভাবে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করার জন্য সুন্দর সম্মেলনকে বিকৃত করা।

 

 

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারষ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ বাদল ভাই সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করেন।তারা চেয়েছিল অবৈধ ভাবে ভোট দিয়ে বিজয়ী হতে তাদের এই বিশৃঙ্খলা। আমরা বিষয়টা আমাদের এমপি মহাদয়কে জানাবো এবং তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।   এন.এইচ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর