শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

আদালত পাড়ায় তৈমুরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০২১  

 নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সিটি মেয়র প্রার্থী অ্যাড. তৈমুর আলম খন্দকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে খুন হওয়া হকার জুবায়েরের স্বজনরা। জুবায়ের হত্যা মামলার আসামির পক্ষে দাঁড়ানোয় মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বিক্ষোভ

 নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সিটি মেয়র প্রার্থী অ্যাড. তৈমুর আলম খন্দকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে খুন হওয়া হকার জুবায়েরের স্বজনরা। জুবায়ের হত্যা মামলার আসামির পক্ষে দাঁড়ানোয় মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বিক্ষোভ

 নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সিটি মেয়র প্রার্থী অ্যাড. তৈমুর আলম খন্দকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে খুন হওয়া হকার জুবায়েরের স্বজনরা। জুবায়ের হত্যা মামলার আসামির পক্ষে দাঁড়ানোয় মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বিক্ষোভ করেন তারা।

 

এই সময় তৈমুরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নানা স্লোগানও দেয় জুবায়েরের স্বজনরা। অ্যাড. তৈমুর আলমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে নিহত জুবায়েরের মা মুক্তা বেগম বলেন, ‘তৈমুর আলম একজন বয়োজ্যেষ্ঠ ও বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ। তিনি কীভাবে কোর্টে বললেন যে, স্বপন শুধু চড়-থাপ্পর মেরেছে! আমার ছেলেকে তো স্বপন চড়-থাপ্পর মারতে মারতেই তো বলাকা পাম্পে নিয়ে গেল। আর সেখানেই সবাই মিলে আমার ছেলেকে হত্যা করলো। সেই জায়গায় কী করে তার পক্ষে জামিন চাইলেন তৈমুর সাহেব? আমরা এ হত্যার সাথে যারা জড়িত তাদের ন্যায্য বিচার দাবি করছি।

 

’ এ সময় আদালতপাড়ায় অ্যাড. তৈমুর আলমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে জুবায়েরের স্বজনরা। এই বিষয়ে অ্যাড. তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘এটা আইনগত বিষয়। এটা আমার পেশা। তারা যে স্লোগান দিলো তারা কি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানালো? এটা কেউ উস্কানিমূলকভাবে করাতে পারে। একজন আইনজীবী যে কোনো পক্ষেই থাকতে পারে। এটা তার আইনগত অধিকার। যত বড় আসামি হোক সে আইনজীবী পাবার অধিকার রাখে।’ আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন তৈমুর আলম খন্দকার।

 

এদিকে শহরের আলোচিত হকার হত্যা মামলার আসামির পক্ষে দাঁড়ানোয় নির্বাচনী মাঠে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে তৈমুর আলম বলেন, ‘এগুলো কোনো ব্যাপার না। হাইকোর্টে হাজার হাজার মামলা হচ্ছে কেউ পক্ষে যাই, কেউ বিপক্ষে যাই। কোনোদিন তো একথা উঠে নাই। এগুলো এখন উস্কানিমূলকভাবে করা হচ্ছে।

 

প্রসঙ্গত, গত ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় চাষাঢ়া সাধু পৌলের গীর্জার সামনে ছুরিকাঘাত করে এবং পিটিয়ে হত্যা করা হয় হকার জুবায়েরকে। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি ইকবালকে বরিশালের উজিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব এর একটি দল। ওই মামলায় হকার নেতা আসাদুল ইসলাম (পলাতক) সহ এজাহারনামীয় ৯ জন ও অজ্ঞাত আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের মা। এ ঘটনায় স্বপন ও ইকবালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
 

এই বিভাগের আরো খবর