শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

আড়াইলাখে মুকুলকে গালিগালাজ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২৪  

 

আগামী ৪ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বন্দর উপজেলা নির্বাচন। যাকে ঘিরে নির্বাচনে অংশ নিতে এখনো বিএনপির কারো নাম সামনে না আসলেও বিএনপির ভোট কোথায় প্রয়োগ করা হবে তা নিয়ে চলছে নানা সমীকরণ। ইতিমধ্যে বিএনপি থেকে কোন প্রার্থী না থাকায় বর্তমানে বিএনপির ভোট এককভাবে পেতে মরিহা হয়ে উঠেছে মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুল। তিনি বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান থাকায় এবার ২০২৪ সালে ও প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

ইতিমধ্যে নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু করেছেন এই বহিষ্কৃত নেতা মুকুল। এই মুকুলকে ঠেকিয়ে বন্দর বিএনপির ভোট কেড়ে নিতে জাতীয় পার্টির নেতা মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাজাকার পুত্র মাকসুদ উঠে পরে লেগেছে। যে কারণে বর্তমানে তিনি মহানগর বিএনপির প্রভাবশালী কয়েকজন নেতাকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করছেন।

 

ইতিমধ্যে বন্দরের কয়েকজন নেতাকর্মীদের ভাষ্য অনুযায়ী জানা গেছে, মাকসুদের কাছ থেকে মহানগর বিএনপির একজন সদস্য প্রভাবশালী কয়েকজন নেতার নাম বলে ইফতার পার্টির নামে আড়াইলাখ টাকা এনেছেন। আর সেই টাকা মহানগরের প্রভাবশালী সেই জনশ্রোত নেতারা গ্রহণ করেছেন এমনই গুঞ্জন পাওয়া যাচ্ছে। যাকে ঘিরে মুকুল ঠেকাও মিশনে তারা ও মাকুসদের হয়ে কাজ করবে যাকে ঘিরে মাকসুদের হয়ে সেই বিএনপি নেতারা বহিষ্কৃত মুকুলকে নিয়ে বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য করেছেন বলে ও শোনা যাচ্ছে।

 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মহানগর বিএনপির আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মহানগর বিএনপির একজন নেতা বন্দর উপজেলা বিএনপির আওতাধীন কয়েকটি ইউনিয়নের নেতাদের সাথে উপজেলা নির্বাচনে কার সমর্থনে যাওয়া হবে তা নিয়ে নানা যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে যোগাযোগ সাপেক্ষে মহানগর বিএনপির আরেকজন প্রভাবশালী নেতাকে তা অবগত করেন। পরে উনি তা নিয়ে অনীহা প্রকাশ করলে পরে বিষয়টা অনেকটাই উল্টো করে পরে।

 

কিন্তু সেই নেতা মহানগর বিএনপির শীর্ষ দুই নেতাকে নানাভাবে বুঝিয়ে বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু সুফিয়ানের কাছে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে কোন প্রকারের ফলশ্রুতি না মিললে সেই নেতা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। পরে নানাভাবে মহানগর বিএনপির সেই নেতা রাজাকার পুত্র খ্যাত বন্দর মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ বন্দর উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিবে জেনে তার উপরে টার্গেট করে এগিয়ে যেতে শুরু করেন।

 

এদিকে সেই নেতা প্রথমে এককভাবে মাকসুদ চেয়ারম্যানের সাথে ডিল ফাইনাল করেন পরবর্তীতে মহানগর বিএনপির প্রভাবশালী জনশ্রোত দুই নেতার সাথে আলাপ আলোচনা করে সব ফাইনাল করেন। মাহে রমজানের পূর্বেই বন্দর উপজেলার আওতাধীন একটি ইউনিয়নে জরুরী সভার আয়োজন করেন সেই দুই প্রভাবশালী নেতা। সেখানে প্রতিটি ইউনিয়নের সুপার ফাইভ ব্যতিত গোপনীয় মিটিংয়ের কথা বলে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে শোনা যাচ্ছে।

 

তার পরপরই মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতার মাধ্যমে মহানগর বিএনপির প্রভাবশালী দুই নেতা ও সেই ম্যানেজকৃত নেতা মাকসুদ চেয়ারম্যানের সাথে যোগসাজশে এসে ইফতার পার্টি বাবদ আড়াইলাখ টাকা নেন বলে শোনা গেছে। আবার তফসিল ও বাকি কর্মকান্ডের পরই বাকি টাকা নেওয়া হবে বলে ও জানিয়েছেন।

 

এদিকে আরো জানা গেছে, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুলকে নিয়ে সব থেকে বেশি ভয় কাজ করছে বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদের। যার কারণেই তাকে টার্গেট করে বন্দরের বিএনপি নেতাদের ভোট নিজে এককভাবে ভোগ করতে বিএনপির সেই প্রভাবশালী দুই নেতার সাথে আতাঁত করেছেন এই রাজাকার পুত্র মাকসুদ। যাকে ঘিরে সেই আড়াইলাখ টাকা হালাল করতে মুকুলের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য করছেন প্রভাবশালী সেই নেতারা এমনটাই বলছেন মুকুলের সমর্থিত গোষ্ঠি।

 

জানা গেছে, ইতিপূর্বে আতাউর রহমান মুকুল বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই মুকুলকে এবার ভোটের মাঠে পরাজিত করতে জাতীয় পার্টির নেতা মাকসুদ ও গভীর চাল চেলেই যাচ্ছেন। বন্দরে বিএনপির ভোট যেন মুকুলে বাক্সে না পড়ে, সেই লক্ষ্যে মহানগর বিএনপির প্রভাবশালী নেতাদের সাথে গোপন সখ্যতা গড়তে টোপ হিসেবে মাকসুদ চেয়ারম্যান প্রথমে ইফতারের নামে আড়াইলাখ ছুঁড়ে দিয়েছেন। তিনি ভাবছেন এর মাধ্যমে বিএনপির ভোট ঠেকানো সম্ভব হবে। আর তা হয়ে গেলে বা তলে তলে সমর্থন পেয়ে গেলে বিএনপির এই নেতাদের আরো অর্থ দেওয়ার আশ্বাস ও দিয়েছেন সেই রাজাকারপুত্র বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুছাপুরসহ আরো কয়েকটি ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দরা বলেন, কিছুদিন পূর্বে সকল ইউনিয়নের সুপার ফাইভের নেতাদের সাথে গোপনীয় মিটিংয়ের মাধ্যমে মহানগর বিএনপির প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা বন্দর উপজেলা নির্বাচনে মাকসুদ চেয়ারম্যানকে সমর্থন করতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।

 

তিনি আরো বলেন, মাকসুদ চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির নেতা তাহলে বিএনপির নেতারা কেন তাকে সমর্থন করবে এই প্রশ্ন হলে তারা বলেছেন মুকুল বন্দর উপজেলায় আসলে বর্তমান বিএনপির নেতারা কোন সুফল পাবে না আরো ক্ষতিগ্রস্থ হবে তাই যেহেতু ৫ আসনে জাতীয় পার্টির প্রভাব সেদিকে লক্ষ্যে করে মাকসুদকে সমর্থন করাই ঠিক হবে বলে তারা জানিয়েছেন। কিন্তু তার দুইদিন পরই জানা গেলো তারা মাকসুদ চেয়ারম্যানের সাথে একটি ডিল করেছে সেখানে প্রথমে ইফতার পার্টি বাবদ আড়াইলাখ ও পরে আরো অর্থ দেওয়া হবে বলে ও জানা গেছে। এস.এ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর