শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

রমজানের প্রথম জুম্মায় শহরের মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের ঢল

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল ২০২২  

ক্ষমা ও মুক্তির বার্তা নিয়ে এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম জুম্মার জামাতে শহরের মসজিদে মসজিদে ছিল মুসল্লিদের ঢল। মসজিদগুলোতে ছিল নানা বয়সী মুসল্লিদের ব্যাপক উপস্থিতি। নামাজ শেষে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। রহমতের দশদিনের প্রথম জুম্মায় রোজাদার মুসল্লিরা বেশ আগে থেকেই উপস্থিত হন মসজিদে।

 

তবে শেষদিকে মুসল্লিদের ঢল নামায় ঠাঁই হয়নি মসজিদের ভিতর ও বাইরের চত্বরে। প্রতিটি মসজিদই নামাজের বেশ আগেই পূর্ণ হয়ে যায় এবং বাইরের রাস্তা বা সংলগ্ন স্থানে নামাজ আদায় করতে হয় বিপুলসংখ্যক মুসল্লিকে। শুক্রবার ( ৮ এপ্রিল ) পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম জুম্মায় আল্লাহ’র সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের প্রতিযোগিতায় সামিল হতে সকাল থেকেই নামাজের প্রস্তুতি গ্রহন করতে।

 

নামাজ শুরুর আগেই প্রতিটি মসজিদ মুসুল্লিদের অংশগ্রহনে পূর্ণ হয়ে যায়। বাড়ির বড়দের সাথে ছোট ছোট সোনামনিদেরও দেখা গেছে নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে চলে আসতে। সকলে পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম জুম্মায় শরীক হয়ে নেক আমল লাভের চেষ্টায় একাগ্র চিত্তে প্রার্থনা করেছেন। শহরের বড় বড় বেশ কয়েকটি মসজিদ যেমন ডিআইটি জামে মসজিদ, চাষাঢ়া নুর মসজিদ,

 

কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, চাষাঢ়া বাগে জান্নাত জামে মসজিদ, মাসদাইর বাজার বায়তুল আমান জামে মসজিদ ঘুরে দখো গেছে মুসুল্লিদের মাঝে যেন নতুন করে প্রাণের স্পন্দন তৈরী হয়েছে। মানুষ তার কৃতকর্মের জন্য এই পবিত্র মাসের উছিলায় আল্লাহ’র দরবারে ক্ষমা প্রার্থনার পাশাপাশি ভবিষ্যত জীবনের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করতে মসজিদে ভীর জমাচ্ছেন।

 

যাদের পিতা মাতা কবরবাসী হয়েছেন তারা মৃত পিতামাতার কবরের আজাব মাফ করতে ও তাদের বেহেস্ত নসীব করতে আল্লাহ’র কাছে কান্নাকাটি করতে দেখা গেছে। নামাজ শেষে দেশ, দেশের মানুষ ও সকল মুসলিম উম্মাহ’র শান্তি কামনা করে প্রতিটি মসজিদে বিশেষ দোয়া পরিচালিত হয়।