শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

শহরবাসীর অতন্দ্র প্রহরী আইভী স্বোচ্চার

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২১  

# এবারও বেশি দূর এগুতে পারবে না সন্ত্রাসীরা


নারায়ণগঞ্জের মানুষকে সন্ত্রাসীদের অত্যাচার থেকে বাঁচাতে সব সময় অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় কাজ করে চলেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী। যদিও তিনি এই শহর থেকে সন্ত্রাস পুরোপুরি বিদায় করতে পারেননি। কারণ একটি বিশেষ পরিবার যুগের পর যুগ ধরে এই শহরে সন্ত্রাসের আবাদ করে চলেছেন। তাই মেয়রের পক্ষে পূরোপূরি সন্ত্রাস দমন সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু তিনি সন্ত্রাসীদের লাগাম টেনে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। বিগত সতেরো বছর ধরে নারায়ণগঞ্জে মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন আইভী।

 

যখনই ওই পরিবারের পালিত সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তখনই প্রতিবাদে ফেটে পরেছেন মেয়র। আর এই ক্ষেত্রে মেয়রের পাশে দাঁড়িয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জনগণ। যার ফলে সন্ত্রাসীরা খুব বেশি দূর এগুতে পারেননি। সম্প্রতি বেপরোয়া হয়ে উঠা হোন্ডা বাহিনীর বিরুদ্ধেও মেয়র আইভী মুখ খুলেছেন। তিনি হোন্ডা বাহিনীর বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারন করেছেন।

 


এদিকে সেই এরশাদের শাসনামল থেকে এই শহরে শুরু হয়েছিলো সন্ত্রাসের আবাদ। এরশাদ সরকারের আমলে ওই পরিবারের একজন সদস্য এমপি ছিলেন। তিনিই প্রথম রাজনীতিতে সন্ত্রাসীদের আবাদ শুরু করেন। সারোয়ার, লাল, নিয়াজুল, মাকসুদ, টাওয়ার সেলিম, টুন্ডা মাসুদ গংরা তারই সৃষ্টি। পরে এই বাহিনীর হাল ধরেন ওই এমপির ছোটো ভাই। পরে ১৯৯৬ সালে সেই ছোটো ভাই এমপি হলে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে সন্ত্রাসীরা। এই শহরে শুরু হয় খুনের হোলি খেলা। আর তখন যারা সন্ত্রাসের খাতায় নাম লিখিয়েছিলো তাদের অধিকাংশই এখন আর বেঁচে নেই।

 

অকালেই মরে গেছে সব। কেউ মরেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের গুলিতে, আবার কেউ মরেছে আইনশৃংখলাবাহিনীর গুলিতে। আবার কেউ কেউ অনুশোচনায় ভুগে ব্রেইন স্ট্রোকে মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্তু এই পরিবারটি সন্ত্রাস উৎপাদনে থেমে থাকেনি। একজন গিয়েছে আরেকজনকে তারা তৈরী করেছে। এভাবেই যুগ যুগ ধরে তারা এই শহরে সন্ত্রাসের আবাদ করে চলেছেন। এখন আবার তারা তাদের সন্তানদের মাঠে নামিয়েছে। রোপন করা হচ্ছে সন্ত্রাসের বীজ। কিন্তু এদের পথের কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি গত নির্বাচনের আগে স্লোগান দিয়েছিলেন “নেই চিন্তা নেই ভয়, শহর হবে শান্তিময়”। তার এই স্লোগানে আশ্বস্ত হয়েছিলেন মানুুষ। আইভী বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন।

 


এদিকে মেয়র আইভী টানা সতেরো বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব পালন করলেও তিনি বা তার পরিবারের কেউ কখনোই কোনো সন্ত্রাসীকে প্রশ্রয় দেননি। বরং আইভী অসিম সাহসিকতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে চলেছেন। শহরে সন্ত্রাসীরা যখনই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তখন আইভী সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কয়েক বছর আগে এই শহরে প্রায় কাছাকাছি সময়ে বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা ঘটেছিলো। এসব খুনের মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো, ত্বকী, আশিক, মিঠু ও চঞ্চল হত্যাকান্ড। এসব হত্যাকান্ডের পর তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন মেয়র আইভী। ওই সময় তিনি একের পর এক প্রতিবাদ সভা করেছিলেন এসব হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে।

 

এদিকে এখন আবার ওই ধরনের একটি পরিস্থিতি তৈরীর চেষ্ঠা চলছে বলে আভাস পাওয়া গেছে। নতুন সন্ত্রাসীদের একটি গ্রুপ তৈরী করে তাদেরকে হোন্ডা দিয়ে মাঠে নামানো হয়েছে। আর দিনে রাতে চলছে এই হোন্ডা বাহিনীর মহড়া। বিষয়টি নজরে এসেছে মেয়র আইভীর। ফলে তিনিও আবার স্বোচ্চার হয়ে উঠেছে। শহরকে শান্তিময় রাখার জন্য তিনি সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। ফলে আশা করা যায় এবারও সন্ত্রাসীরা বেশিদূর এগুতে পারবে না।


 

এই বিভাগের আরো খবর