শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

স্বাধীনতা দিবসেও দেখা নেই জেলা বিএনপির

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২৪  

 

২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির সভার পর এক সংবাদ সম্মেলনে কমিটির আহ্বায়ক মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ একথা জানান।বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষক বলা হয় জিয়াউর রহমানকে।

 

তাছাড়া জেলা উপজেলা, মহানগর সহ সকল থানার নেতৃবৃন্দকে এই কর্মসুচি পালনের জন্য আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু এদিন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের তেমন কোন কর্মসূচিতে দেখা যায় নাই। তবে মহানগর বিএনপি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তবে এই দিক দিয়ে পিছিয়ে রয়েছে জেলা বিএনপি। তাদের তেমন কোন কর্মসূচিতে দেখা মিলে নাই। অথচ নির্বাচনেরে আগে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে বিভিন্ন ভাবে সক্রিয় ছিলো।

 

এদিকে, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির সভার পর এক সংবাদ সম্মেলনে কমিটির আহ্বায়ক মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ একথা জানান। তাছাড়া কঠোর আন্দোলন, হরতাল-অবরোধের মাধ্যমেও গত ৭ জানুয়ারী নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বিএনপি।

 

অপরদিকে নির্বাচনের ভোট বর্জনের মাধ্যমে জনগণ থেকে ভালো সারা পেয়েছে বিএনপি। এজন্য মহনাগর বিএনপি লিফলেট বিতরণ করে নির্বাচন বর্জনের যে দাবী জানিয়েছেন তাতে জনগণ সাড়া দেওয়ায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে। কিন্তু তখনও জেলা বিএনপির সক্রিয়তা দেখা যায় নাই। গত ৩০ জানুয়ারী জেলা, মহানগর, উপজেলায়, থানায় কর্মসূচি পালন হলেও দেখা যায়নি জেলা বিএনপির কোন নেতাকর্মীকে যা নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে।

 

অপরদিকে এই কর্মসূচি পালনের জন্য প্রেসক্লাবের সামনে মহানগর বিএনপি কালো পতাকা মিছিল বের করার চেষ্টা করলে সেখানে আগে থেকেই পুলিশ অবস্থান করেন এবং তারা বাধার মুখে পরেন কিন্তু তারপরেও সেই বাধা উপক্ষো করেই কোন রকম কালো পতাকা মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে মহানগর বিএনপি। তবে জেলা বিএনপির দেখা মিলে নাই। এই আলোচনা সমালোচনার মাঝে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে দেখা মিলে নাই জেলা বিএনপির।

 

কিন্তু এই চলমান আন্দোলনে গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে এই পর্যন্ত রাজপথে দেখা যায়নি জেলা বিএনপিকে। এছাড়া জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন দীর্ঘদিন যাবৎই রাজনীতি থেকে উধাও ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। নারায়ণগঞ্জের এই নেতাদের শুধু মাত্র ঢাকায় বিএনপির ১৬ ডিসেম্বরের কর্মসূচিতে ও দেখা গেছে আবার গত ২৭ জানুয়ারী কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচিতে ও দেখা গেছে।

 

তবে ২৬ শে মার্চ মাসের স্বাধীনতা দিবসে জেলা বিএনপির নেতাদের কোন কর্মসুচিতে দেখা মিলে নাই। তাছাড়া জেলা বিএনপির দায়িত্বে যে দুই কর্ণধার রয়েছেন তারাও নারায়ণগঞ্জের বিএনপির রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। যা নিয়ে হতাশার ছাপ দেখা মিলছে জেলা বিএনপির মাঝে। কেননা দলীয় কর্মসুচির মাধ্যমে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখা যায়। কিন্তু তাদের ক্ষেত্রে তাও হচ্ছে না।

 

তাছাড়া তারা আবারো রাজপথে কবে সক্রিয় হবে তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এদিকে সকল নেতাকর্মী জামিনে বের হয়ে আসছে মহানগর বিএনপি ও জেলা বিএনপির বহু নেতা তাছাড়া অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা জামিনে আসলেও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা এখনো আত্মগোপনই রয়েছে। আত্মগোপন থেকে কবে নাগাত বের হয়ে জেলা বিএনপির রাজপথে দেখা মিলবে তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে নেতা কর্মীদের মাঝে। জেলা বিএনপির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিনের সাথে যোগযোগ করা হলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। এস.এ/জেসি


 

এই বিভাগের আরো খবর