বুধবার   ০১ মে ২০২৪   বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

স্বস্তির বৃষ্টিতেও কমছে না গরম

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২৪  


গত দু’দিন ধরে সকালে থেকে প্রচন্ড রোদ থাকলেও বিকেলের দিকে হঠাৎ নগরীর আকাশে মেঘের কালো ঘনঘটা দেখা যায়। এতে নগরীর বিভিন্ন এলাকা কিছুটা অন্ধকারাছন্ন হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে হালকা বড় বড় ফোটার ঝিরঝির বৃষ্টিও হয়। এতে ঠান্ডা অনুভূতি হওয়ার বদলে আরো যেন ভ্যাপসা গরম লাগছে বলে জানান নগরবাসী।

 


তীব্র গরমে নগরীর জনজীবনও অতিষ্ঠ। অসহনীয় গরমে হাঁসফাঁস নগরজীবন। গতকাল নারায়ণগঞ্জের বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি রেকর্ড করা হলেও অনুভূতি যেন আরও বেশি। তাপপ্রবাহের কারণে গণপরিবহনের যাত্রী ও পথচারীরা ভীষণ কষ্টে চলাচল করছেন।

 

ফুটপাতের খোলা দোকান অথবা ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীদের জীবনযাপন হয়ে উঠেছে অসহনীয়। এরমধ্যে মঙ্গলবার এবং গতকাল বুধবার বিকেলের দিকে হালকা স্বস্তির বৃষ্টি হয় নারায়ণগঞ্জে। কিন্তু এতে কমেনি গরম।

 


প্রচন্ড গরমের কারনে বেশি বিপাকে পড়েছেন প্যাডেল চালিত রিকশাচালক, ভ্যানচালকরা। মাসদাইর থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন রাকিবুল হোসেন। গ্রামের বাড়ি রংপুর। থাকেন মাসদাইর এলাকায়। গতকাল দুপুরে চাষাড়া বালুর মাঠ থেকে কিছুটা সামনে এগিয়ে গলির রাস্তায় তার সঙ্গে কথা হয়।

 


তিনি যুগের চিন্তাকে বলেন, আমার তো পায়ে চালানো রিকশা। কিছুক্ষণ প্যাডেল মেরে রিকশা চালাইলেই গলাডা শুকাইয়া কাঠ হয়ে যায়। এত গরম যে মাথার ঘুরিয়ে পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা।  কিন্তু ভাড়া না মারলে তো সংসার চলবে না। কবে যে দুনিয়াডা একটু ঠান্ডা হইবো। আবার বৃষ্টিতেও সমস্যা। বৃষ্টিতে ভিজলে আবার ঠান্ডা লাগে অসুখ হয়ে যায়। সেটা আবার আরেক সমস্যা।  

 


২নং রেলগেটের পাশে বড় ছাতা টাঙিয়ে চা বিক্রি করেন মধ্যবয়সী এক ব্যাক্তি। প্রচন্ড গরমে ঠাঁই দাঁড়িয়ে দোকান চালাচ্ছেন। ছাতাটির পাশে ছোট একটি টেবিল ফ্যান চালু করে রেখেছেন। তবে তা দিয়ে শরীরে তেমন হাওয়া লাগছে না বলে জানালেন তিনি। তিনি আরো বলেন, যেই রোদের তাপ, এ ছোট ফ্যানের বাতাসে কিচ্ছু হইবো না। গরমের ঠেলায় বাতাস গায়ে লাগলেও টের পাইতেছি না। ফ্যান চালাইতো হইবো, তাই চালাইতেছি। মনের বুঝ দেওয়া ছাড়া আর কিছুই না।

 


এদিকে, গরমে গণপরিবহনে চলাচল করা যাত্রীরাও নিদারুণ কষ্টে যাতায়াত করছেন। ঈদের ছুটি শেষে অফিস- আদালত চালু হওয়ায় অনেক ছুটছেন নিজ নিজ কর্মস্থানে। আবার সড়কে গণপরিবহন সংকট থাকার কারনে বাস কিংবা লেগুনাতে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। এছাড়া অধিকাংশ গণপরিবহনে পর্যাপ্ত থাকে না ফ্যানের ব্যবস্থা। আবার থাকলেও দেখা যায় ঠিকমতো তা চলছে না।    এন. হুসেইন রনী  /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর