শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

“রাজনীতি করতে কোনো সন্ত্রাসী বাহিনীর দরকার পরে না”

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২১  

# প্রমাণ করেছেন মেয়র আইভী


রাজনীতি করতে কোনো সন্ত্রাসী বাহিনী বা ক্যাডার বাহিনীর দরকার পরে না এটা প্রমাণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী। নারায়ণগঞ্জের প্রবীণ নাগরিকদের মতে, মেয়র আইভী নিজের মেধা, প্রজ্ঞা এবং শ্রম দিয়ে নিজেকে সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ট রাজনীতিবিদ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন।

 

বিগত প্রায় টানা সতেরো বছর ধরে মেয়র আইভী নারায়ণগঞ্জ শহরে আওয়ামী লীগের একজন বলিষ্ঠ নেতা হিসাবে সবস্থরের মানুষকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি আরো অনেক আগেই একজন সৎ জনপ্রতিনিধি হিসাবে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেছেন। ফলে তিনি যতোবার নির্বাচন করেছেন ততোবারই বিপুল ভোটে জয় লাভ করেছেন। তিনি দুইবার বিএনপির দুই প্রার্থী এবং একবার নিজ দলীয় প্রার্থীকে হারিয়েছেন। তিনটি নির্বাচনেই তিনি জিতেছেন ব্যাপক ব্যাবধানে। আইভী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে তার নিজ দলীয় প্রার্থী একেএম শামীম ওসমানকে হারিয়েছেন এক লাখের বেশি ভোটের ব্যাবধানে এবং পরের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে হারিয়েছেন আশি হাজার ভোটের ব্যবধানে। তিনটি নির্বাচনই জনগণের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছিলো।

 

অথচ এসব নির্বাচনে শামীম ওসমান ও বিএনপির প্রার্থীদের হারিয়ে দিতে তার কোনো সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রয়োজন পরেনি। নারায়ণগঞ্জের জনগণ তাদের সর্ব শক্তি নিয়োগ করে দাড়িয়েছেন আইভীর পাশে। আর যার পাশে জনশক্তি থাকে তার যে কোনো সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রয়োজন পরে না সেটা তিনি প্রমাণ করেছেন। এদিকে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে একটি পরিবার সন্ত্রাসী বাহিনী ছাড়া কোনো রাজনীতিই করতে পারেন না। তাদের কাছে রাজনীতি মানেই হলো সন্ত্রাস। নারায়ণগঞ্জবাসী অনেকের মতে এই পরিবারের কাছে রাজনীতি একটি লাভজনক ব্যবসাও বটে। দেশের এক নম্বর ধনী জেলা হিসাবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ জেলায় রাজনীতি করে বিগত বছরগুলিতে তারা এবং তাদের কিছু চেলা শত শত কোটি টাকার মালিক বনেছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিদেশেও টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ শহরের সব কয়টি অবৈধ খাত রয়েছে তাদের দখলে। তাদের টাকা উপার্জনের আরো একটি বড় খাত হলো চাঁদাবাজী। শহরের বড় ব্যবসায়ীরা সকলেই তাদেরকে বিভিন্নভাবে মোটা অংকের চাঁদা দিয়ে থাকেন।

 

এছাড়া তাদের মাধ্যমে যে সকল উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে সেই সকল উন্নয়ন প্রকল্প থেকে মোটা অংকের কমিশন নিয়ে থাকেন তারা। আর এসব কারণে তারা যাই বলেন না কেনো, তাদের কোনো জনপ্রিয়তা নেই। মানুষ তাদেরকে পছন্দ করেন না। দেশে যদি কখনো কোনো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে তারা জয়ী হতে পারবেন না। তাই তারা সন্ত্রাসী ছাড়া রাজনীতির কথা ভাবতেই পারেন না। কিন্তু ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীর এসবের কোনো প্রয়োজন নেই। তার ব্যক্তিত্ব হাজারো সন্ত্রাসীর চেয়েও হাজারগুণ বেশি শক্তিশালী।

 

অন্যথায় এই শহরে এভাবে তিনি টানা দেড় যুগ টিকে থাকতে পারতেন না। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার আইভীকে সারা বাংলাদেশের মানুষ একজন সৎ ও বলিষ্ঠ নেতা হিসাবেই চিনেন। তাই তিনি বলিষ্ঠ ভাবেই প্রমাণ করেছেন রাজনীতি করতে কোনো সন্ত্রাসী বাহিনীর দরকার পরে না।

এই বিভাগের আরো খবর