শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

করোনার পেটে বিএনপির রাজনীতি

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২১  

# একটুও সক্রিয়তা হারাইনি : তৈমূর


# মামলা হামলা এর জন্য দায়ী : সাখাওয়াত


# আমরা একটু কম সক্রিয় : সায়েম


# করোনার কারণে পিছিয়ে পড়েছি : টিটু


# একেবারে শেষ হয়ে যায়নি : রনি



দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে বিভিন্ন মামলাসহ স্থানীয় নেতাদের মাঝে অনৈক্যের কারণে বহু আগ-থেকেই দিশেহারা নারায়ণগঞ্জ বিএনপি। কিন্তু এর পরও ছোটবড় বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে ২০২০ সাল পর্যন্ত জেলার রাজনীতিতে কোন রকম সক্রিয় ছিল নেতাকর্মীরা। মূলত দলের শীর্ষ নেতাদের নামে মামলা প্রত্যাহার ও তাদের জেল থেকে মুক্তির দাবিতেই এদের সক্রিয় থাকতে দেখা যেত। তবে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশে চলমান করোনা ভাইরাস নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নেতাকর্মীদের ঐ সক্রিয়তাকেও বিলীন করে দিয়েছে।

 

সূত্র বলছে, করোনা আসার পর এই জেলায় বিএনপি নেতাদের সর্বশেষ কবে রাজপথে দেখা গেছে সেটা অনেকেরই অজানা। এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীরা সহমত প্রকাশ করলেও, কিছু প্রথম সারির নেতাদের মাঝে দেখা দিয়েছে দ্বিমত। যাদের মাঝে দ্বিমত দেখা দিয়েছে তারা বলছেন, করনার কারণে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি একটুও সক্রিয়তা হারায়নি। বরং এখন বিএনপি নেতাকর্মীরা করোনার মধ্যেও আগের চেয়ে অনেক বেশি সাংগঠনিক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

 


জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক এড. তৈমূর আলম খন্দকার এ বিষয়ে যুগের চিন্তাকে বলেন, ‘ আমরা করোনার কারণে একটুও সক্রিয়তা হারাইনি। বরং করোনার মধ্যেও আগের তুলনায় বেশি সাংগঠনিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছি। যা ধীরে ধীরে সকলেই দেখতে পাবে।’ অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘ আসলে বর্তমান সরকার চায়, দেশে বিএনপির রাজনীতিই যাতে বন্ধ হয়ে যায়। তাই আমাদের এখন রাজনীতিকে সক্রিয়তা হারানোর পেছনে করোনার প্রভাব যেমন আছে; তেমনি প্রশাসনের মামলা হামলাও এর জন্য দায়ী। তাই শুধু করোনার কারণেই যে আমরা এখন রাজপথে নামতে পারছিনা, সেটা বলা ঠিক হবেনা।’

 


জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম যুগের চিন্তাকে বলেন, ‘ আমরা করোনা মধ্যেও চেষ্টা করছি বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করতে। তবে আগের চেয়ে অবশ্যই আমরা একটু কম সক্রিয়। কারণ একের পর এক লকডাউনে যেখানে দেশের অধিকাংশ মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছে, সেখানে আমরা রাজপথে নেমে কিভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করবো?’ জেলা যুব দলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘ করোনা আসার আগে আমরা যে পরিমাণে কেন্দ্রীয় কর্মসূচী পালন করেছি, সেটা করোনা আসার পর স্বাভাবিক ভাবেই অনেক কমে গেছে। আমরা এখন আগের মতো আর চাইলেও রাজপথে নামতে পারছিনা।

 

তাছাড়া পুলিশ ও ছাত্রলীগের মামলা হামলারও একটি বিষয় আছে। তবে ২০২৩ সালে যেহেতু সংসদ নির্বাচন আসছে, তাই দ্রুতই আমরা আবার রাজপথে নামবো। নিজের রক্ত দিয়ে হলেও দেশের একটি গণতান্ত্রিক  এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরী করবো।’ জেলা ছাত্র দলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি বলেন, ‘ করেনায় আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচী আগের চেয়ে একটু কমেছে এটা সত্য, তবে একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। মূলত করোনার চেয়ে আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় বাধা পুলিশ ও বর্তমান সরকার। এদের কারণে আমরা বেশি বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। তবে করোনার পর আমরা আবার পুরোদমে মাঠে নামবো।’
 

এই বিভাগের আরো খবর