শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

তারা যুদ্ধাপরাধীর সন্তানদের চেয়ারম্যান বানায় : আবদুল হাই

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৮ জানুয়ারি ২০২২  

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল হাই বলেন, সদ্য সাবেক ইউনিয়ন নির্বাচনে বন্দর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের মাঝে আমরা একটা মাত্র নৌকা পেয়েছি। তিনটা লাঙ্গল পেয়েছে। এখানে আমাদের বন্দরের সেক্রেটারি কাজিম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলো। কিন্তু তাকে পরাজিত করা হয়েছে। এখানের এমপি কিন্তু নৌকার না। লাঙ্গল মার্কার।

 

তারা রাজাকুরপুত্র মাকসুদকে মনোনয়ন দেয়। তারা যুদ্ধাপরাধী সন্তানদের চেয়ারম্যান বানায়। আমরা তাদের এই ধরনের কর্মকান্ডে ধিক্কার জানাই।  একই সাথে তিনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দাবী তুলেন। শুক্রবার বিকেলে বন্দরের নবীগঞ্জ কবিলের মোড় এলাকায় আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মী সমাবেশটি বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে আয়োজন করা হয়। আব্দুল হাই সাংসদ সেলিম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদের কী দেয় নাই নেত্রী। আপনাদের একই পরিবার থেকে তিন ভাইকে এমপি করেছেন নেত্রী। অথচ আপনারা একটা নমিনেশন সহ্য করতে পারেন না। আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে আমরা এখানে লাঙ্গল দেখতে চাই না।

 

লাঙ্গল এখান থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাবেন। যেখানে খুশি লাঙ্গল দিয়েন। এখানে পাঁচটি আসনেই আমরা নৌকা চাই। যাকেই প্রার্থী দিবেন সে যেন আওয়ামী লীগের হয়। তাহলে আমরা সব নির্বাচনেই জয়লাভ করবো। তিনি হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন,যারা অপরাজনীতি করে তারা কিন্তু দলে টিকতে পারে না। আপনারা কিন্তু দেখেছেন টাকলা মুরাদসহ আরও অনেকে মাইনাস হয়ে গেছে। এখনো সময় আছে আপনারা নৌকাকে সমর্থন দেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থীকে যারা গ্রহণ করেন না তারা আওয়ামী লীগ করেন না। একই সাথে তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করেন না। তারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে না। আপনারা এখনো সময় আছে ঠিক হয়ে যান। নৌকার প্রর্থীকে নির্বাচিত করতে কাজ করেন।


তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখানে লাঙ্গলের পক্ষ থেকে আমাদের নৌকার প্রার্থী (আইভী) কে কিন্তু এখনো সমর্থন দেয় নাই। একই সাথে নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের লাঙ্গলের এমপি হয়েও আমাদের সমর্থন দেয় নাই। তারা তাদের কর্মীদের বলেছে তোমরা হাতি মার্কায় ভোট দাও। এটা কিন্তু সত্য কথা, আপনারা যাচাই বাছাই করেন। পাশা পাশি তাদের অনুসারি জাতীয় পার্টির লাঙ্গলে চেয়ারম্যাদেরকে হাতি মার্কার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। আর এই নিদের্শ পেয়ে অনেক চেয়ারম্যানরা হাতির প্রচারনায় পর্যন্ত নেমেছে দেখলাম।


বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলির সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, সভাপতি মণ্ডলির সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এসএম কামাল, সুজিত রায় নন্দী, শাহাবউদ্দিন ফরাজি,ঢাকা শ্যাপুর, গেন্ডারিয়ার আসনের সাবেক এমপি সানজিদা খানম। এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এমপি মির্জা আজম, নারায়ণগঞ্জ ২ আাসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু।  

 

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য অ্যাড. আনিসুর রহমান দিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি অ্যাড. খোকন সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি কাজিম উদ্দিন প্রধান।        

এই বিভাগের আরো খবর