শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পদোন্নতি হওয়ার দৌঁড়ে আব্দুল কাদির

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১  

নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদির। দলের জন্মলগ্ন থেকে এই নেতা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে এসেছেন। জেলা যুবলীগের সভাপতি হিসাবে আওয়ামী লীগের এই নেতা সারা জেলায় বহু বছর বলিষ্ঠভাবে যুবলীগকে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন। শুধু তাই নয়, দলের দুঃসময়ে তিনি কারাবরণ করেছেন। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে তিনি একজন বলিষ্ঠ নেতা হিসাবে পরিচিত। তিনি বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধ করতে গিয়ে বার বার মৃত্যুর মুখে পতিত হয়েছেন।

 

এছাড়া বিগত বছরগুলিতে তিনি নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি বিএনপি জামায়াতের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার ছিলেন। তিনি স্বোচ্চার ছিলেন এই শহরে সকল প্রকারে অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে। আবদুল কাদির নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে একজন ক্লিন ইমেজের নেতা হিসাবে পরিচিত। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান এবং দলের জন্য সারা জীবন বিনা স্বার্থে কাজ করে গেছেন জননেতা আবদুল কাদির। কিন্তু দলকে তিনি এতো কিছূ দেয়ার পরেও দল থেকে কি পেলেন তিনি। একবার তিনি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলেন। কিন্তু সেই নির্বাচনে তাকে ব্যর্থ করে দেয়ার জন্য মাঠে নামানো হয়েছিলো আওয়ামী লীগের আরো দুইজন প্রার্থীকে। আর এ কারণেই সেই নির্বাচনে তিনি অল্প ভোটে হেরে যান।

 

তবে আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থীর মাঝে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছিলেন এই আবদুল কাদির। আর ওই নির্বাচনে আরো যে দুইজন অংশগ্রহণ করেছিলেন তারা হলেন বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আনোয়ার হোসেন এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি বাদল।  তারা দুইজন আবদুল কাদিরের চেয়ে অনেক কম ভোট পেয়েছেন। এদের একজন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং অপরজন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হয়েছেন আবদুল কাদির। আবদুল কাদিরের সমর্থকরা মনে করেন, আগামীদিনে তাকে জেলা অথবা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি করা উচিৎ। কার এই জেলার গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের মাঝে তিনি ছাড়া আরো অনেকেই নানা পদে আসীন হয়েছেন।

 

আবদুল কাদির নারায়ণগঞ্জ জেলা যুব লীগের সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি। সামনে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দেয়া হতে পারে। এই দুই কমিটির শীর্ষ পদ সভাপতি পদে আবদুল কাদিরকে দেখতে চাইছেন তার কর্মী সমর্থকরা। আবদুল কাদিরের সাথে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগে আরো কয়েক নেতাও এই দৌড়ে রয়েছে।

 

জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি আবদুল হাই, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু, সহ-সভাপতি আরজু রহমান ভূঁইয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য এড.আনিসুর রহমান দিপুসহ আরো বেশ কয়েকজন নেতা এবার জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পদোন্নতি পেতে পারেন বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

এই বিভাগের আরো খবর