শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন নিয়ে তৃণমূলে আগ্রহ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০২৩  

 

# সিলেকশন নয় কর্মীদের সমর্থনেই নেতা ঘোষণার দাবি

 

 

সেবা শান্তি ও প্রগতি মূলমন্ত্র ধারণ করা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের এই ভ্রাতৃপ্রতিম অঙ্গ সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরেই বন্দর থানায় নিষ্ক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। তবে সংগঠনটিকে জাগ্রত করতে নবরূপে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ। সে লক্ষ্যে আজ ২৮ জানুয়ারী বন্দর থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের ত্বরান্বিত করতে বেশ কয়েকজন তুখোড় ছাত্রনেতা বন্দর থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে আশার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে পদ প্রত্যাশা করছেন। তবে বন্দর থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের শীর্ষ পদ প্রত্যাশীদের কাতারে নেতৃত্বের মাপকাঠিতে এগিয়ে রয়েছেন বন্দর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়সাল কবির। কারণ দলের মোক্ষম সময়ে বন্দর থানা ছাত্রলীগ ব্যানারে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে আগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।

 

সূত্র বলছে, দীর্ঘ কয়েকবছর আগে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক আহবায়ক নিজাম উদ্দিন দায়িত্বে থাকা অবস্থায় বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের কমিটি অনুষ্ঠিত হয়। সেসময় বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি করা হয় আরিফুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয় আব্দুল আলীকে। তবে কমিটি গঠনের বেশ কয়েকবছর অতিবাহিত হলেও সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক বন্দর থানা জুড়ে স্বেচ্ছাসেবকলীগের রাজনীতির আলো ছড়াতে পারেনি। তারা সংগঠনকে ব্যবহার করে তাদের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক অবস্থানকে পাকাপোক্ত করতে ব্যস্ত ছিলেন কমিটি থাকা অবস্থায়। যার কারণে বন্দর থানা জুড়ে স্বেচ্ছাসেবকলীগের রাজনীতি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। আর কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ থাকলেও বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের সাথে জেলার আহবায়কের সখ্যতা থাকায় নতুন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে জেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উদ্যেগ নেয়নি।

 

যার কারণে বন্দর থানা ছাত্রলীগের তুখোড় বেশ কয়েকজন ছাত্রনেতা থাকা সত্ত্বেও বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত ছিল। পরবর্তীতে গত সিটি কপোরেশনের নির্বাচনের সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আওতাধীন সকল থানার কমিটি বিলুপ্তি করা হলে বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের কমিটি গঠন করা হয়। এতে করে বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের রাজনীতিতে নতুন মোড় নেয়। পরবর্তীতে কেন্দ্র থেকে নতুন কমিটি গঠনের উদ্যেগ নেয়া হলে বন্দর থানা ছাত্রলীগের বেশকয়েকজন তুখোড় ছাত্রনেতা স্বেচ্ছাসেবকলীগের রাজনীতিকে ত্বরান্বিত করতে নেতৃত্বে আশার ইচ্ছেমত পোষণ করে। এরমধ্যে অন্যতম পরিচিত মুখ হল বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য এবং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়সাল কবির।

 

ছাত্র রাজনীতি থেকেই ফয়সাল কবির বন্দর থানায় আওয়ামী রাজনীতিতে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। সে বন্দর থানা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে একজন দক্ষ সংগঠক ত্যাগী নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। যার কারণে বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে একজন যোগ্য দাবিদার ফয়সাল কবির। এছাড়া বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের রাজনীতিকে ত্বরান্বিত করতে কেন্দ্র থেকে বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগে সভাপতি হিসেবে ফয়সাল কবিরের বিকল্প কাউকে দেখছে না। কারণ তার মাধ্যমেই বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের রাজনীতি জাগ্রত হবে এবং দীর্ঘদিনের ঝিমিয়ে পড়া সংগঠনকে জাগ্রত করতে পারবে। এছাড়া বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এবারও প্রার্থী হয়েছেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলী।

 

তবে তিনি দুই নৌকায় ভর করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কারণ সে বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগে সভাপতি প্রার্থী এবং সভাপতি না হলে সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশা করছেন। তবে বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে আরো দুজন রয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে অন্যতম হল প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান। কারণ সে পূর্বে বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছে। যার জন্য সাধারণ সম্পাদক পদে নেতৃত্বে আসার জন্য এগিয়ে রয়েছেন। এছাড়া বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন শিপন প্রধান। কারণ সে আগে বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব রয়েছেন। তবে আগামীকাল সম্মেলনের মাধ্যমে বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের বহুল কাঙ্খিত কমিটি ফিরতে যাচ্ছে।  

 

এ বিষয়ে বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি প্রার্থী ফয়সাল কবীর বলেন, আমি ১৯৯৭ থেকেই ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম এবং বন্দর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি থাকা অবস্থায় বহু আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে হামলা মামলার শিকার হয়েছি। তাই কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারক যদি আমার ত্যাগের মূল্যায়ন করে আমি আমার কাঙ্খিত পদে আদিষ্ঠ হতে পারব। আমি নেতৃত্বে আসলে সংগঠন শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সংগঠনের সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের রাজনীতিটা করব।

 

এ বিষয়ে বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি প্রার্থী আব্দুল আলী বলেন, আমি পূর্বে নেতৃত্বে থাকা অবস্থায় সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করেছি। তাই আমি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সকল নিয়ে এখনো কাজ করে যাচ্ছি।

এস.এ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর