মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

যোগ্য নেতাকর্মী নেই বিএনপি’র

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২৪  

 

কে বা কারা রাতের আঁধারে চাষাঢ়া জিয়া হলের ম্যুরাল ভেঙে ফেলেছে তা উদঘাটনে নূন্যতম প্রতিবাদ জানাতে পারেনি বিএনপি। কেবলমাত্র গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে ক্ষান্ত রয়েছেন বিএনপির কর্মীরা। জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছেন বটে। তবে শক্ত প্রতিবাদ বলতে যা বোঝায় তার ছিটেফোটাও লক্ষ্য করা যায়নি। এই ইস্যুতে বিএনপির আন্দোলনের ক্ষমতা যে তলানীতে তা স্পষ্ট। 

 

তবে বিএনপির কর্মীদের দাবি, নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিএনপির লাখো যোগ্য কর্মী রয়েছে। তবে আসল সমস্যাটি হলো এসব নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করতে কিংবা সংঘটিত করতে যোগ্য নেতার অভাব। যখনই বিএনপি কিংবা অঙ্গসংগঠনের কোন কমিটি হয় সেগুলো দখলে নিতে বিশেষ কয়েকটি গ্রুপ সংঘবদ্ধ হয়। এই গ্রুপগুলো সরকার অথবা সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ছায়াতলেই সবসময় থাকে। ব্যবসা বাণিজ্য চালায়। তাদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যাও কম। আর অর্থবিত্তেও ভালো থাকায় কমিটিগুলোতেও সেই সব নেতাকে কিংবা তাদের ছায়াকে বেছে নেয়া হয় নেতৃত্বে। আর যার ফলশ্রুতিতে ক্রান্তি কালে তেমন কোন অগ্রগতি দেখাতে পারে না দল। চাষাঢ়া জিয়ার ম্যুরাল ভাঙার ব্যাপারটিতেও আদতে সেটিই হয়েছে। 

 

বিএনপির তৃণমূল কর্মীরা বলছেন, নির্বাচনের আগে যে সকল বিএনপি নেতারা মনোনয়নের আশায় সরব হয়েছেন। সর্বশেষ নির্বাচনের পর সেসব নেতাদের আর কোন পাত্তা পাওয়া যাচ্ছে না। কর্মী তো দূরের কথা দলের সাথেও তাদের নূন্যতম সংশ্লিষ্টতা নেই। নির্বাচনের তিন মাস আগে থেকে বিএনপি যে সকল কর্মসূচি দিয়েছেন সেগুলো পালনের ব্যাপারে সেসব নেতারা উদাসীন ছিলেন। নির্বাচনের পরেও বিএনপির ওই সব নেতারা কাগজে কলমে বিএনপির নানা পদে রয়েছেন তবে কোন ধরণের কর্মকাণ্ডে নেই। 

 

তৃণমূল কর্মীদের ভাষ্য, ঈদের আগে জিয়া হলের জিয়ার ম্যুরাল ভেঙে দিল কারা এই কথাটুকো উদঘাটন করে নেতাকর্মীদের জানাতে পারলো না নেতারা। জেলা প্রশাসক কিংবা সরকার দলীয় এমপির কাছে সৌজন্যমূলক ভাবে হলেও বিষয়টি জানার চেষ্টা করতে পারতেন নেতারা। কিন্তু কিছু ফাঁকা আওয়াজ ছোড়া ছাড়া আর কিছুই করেননি বিএনপির এসব নেতারা। তবে তৃণমূল কর্মীরাও নিরুপায়। এসব নেতার ছত্রছায়াতেই বিএনপি মূল কমিটি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটিগুলো দখল করা। যার কারণে সাংগঠনিকভাবে ঐক্যবদ্ধ কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতাও নেই বিএনপি কর্মীদের। এস.এ/জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর